নীরব এলাকায় শব্দদূষণ আরও বেড়েছে

Passenger Voice    |    ১২:৩২ পিএম, ২০২১-০১-১০


নীরব এলাকায় শব্দদূষণ আরও বেড়েছে

নীরব এলাকা ঘোষণার পর সচিবালয় এলাকা ও তার আশপাশে শব্দদূষণ আরও বেড়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী নীরব এলাকায় দিনের বেলায় যেখানে শব্দদূষণ থাকার কথা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে, সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ ডেসিবেলের ওপরে। অর্থাৎ দূষণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি হারে। এ কারণে সেখানে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের ওপরেও এই দূষণের প্রভাব পড়ছে। তাদের অনেকেই শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎকম্পন বৃদ্ধি, বমি, মাথা ঘোরা, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার এক গবেষণা রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

উচ্চ শব্দ নিয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের(ক্যাপস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ক্যাপস ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচলে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্যাপ্তিতে শব্দদূষণ কিছুটা কমলেও তীব্রতার দিক থেকে শব্দ দূষণ বেড়েছে। তীব্রতার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ লক্ষ্য করা গেছে পল্টন বাসস্ট্যান্ডে। ব্যাপ্তিতে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ লক্ষ্য করা গেছে কদম ফোয়ারায়। ২০২০ সালে ১৪-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ দিনে ১২টি স্থানের সবগুলোর মধ্যেই সর্বোচ্চ শব্দের মান পাওয়া গিয়েছে ১২০ ডেসিবেলের ওপরে। এদিক থেকে পল্টন বাসস্ট্যান্ডে (১২৯.২ ডেসিবেল) সবচেয়ে বেশি শব্দের মাত্রা পাওয়া যায়। সংগৃহীত উপাথ্যের গড়ের হিসাবে শব্দের সর্বোচ্চ মান পাওয়া গিয়েছে কদম ফোয়ারায় যা ১১৮.৭ ডেসিবেল। সবচেয়ে কম শব্দ পাওয়া গেছে সচিবালয়ের পশ্চিম দিকের (মসজিদ) স্থানে (৯৯.৫ ডেসিবেল)।

এতে আরও বলা হয় শব্দের সর্বোচ্চ মানের দিক থেকে ২০১৯ এর চেয়ে ২০২০ সালে ৭.৮ শতাংশ দূষণ বেড়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় সর্বোচ্চ মানের দিক থেকে ২০২০ সালে সবকটি স্থানেই শব্দ দূষণ বেড়েছে। তবে শব্দের সর্বোচ্চ মানের ভিত্তিতে দূষণের স্থানভেদে ক্রম পরিবর্তন হয়েছে। দিনের ব্যবধানে, সকালের তুলনায় দুপুর এবং বিকেলের সময়ে গড় শব্দের সর্বোচ্চ মান বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ১২টি স্থানের প্রতিটিতে দিনের বেলায় ১০০ ভাগ সময় নীরব এলাকার জন্য প্রযোজ্য মানমাত্রার (৫০ ডেসিবেল) চেয়ে প্রায় ২.১ গুণ বেশি মাত্রার শব্দ ছিল। ২০২০ সালে সামগ্রিকভাবে বারোটি স্থানে ৮৮.৪ শতাংশ সময় ৭০ ডেসিবেল (তীব্রতর) এর বেশি শব্দের মাত্রা ছিল যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩.৫ শতাংশ কম।